গাজীপুর সিটি নির্বাচন
পোস্টারে ছেলের ছবি, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মাকে ইসির নোটিশ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণ বিধি ভেঙ্গে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ চিঠি প্রদান করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জায়েদা খাতুন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।
বিজ্ঞাপন
জায়েদা খাতুন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলে নিজ ছবির সাথে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুসারে বিধি ৮ (৫) লঙ্ঘন করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারও নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপানো বা ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে, সেক্ষেত্রে তিনি দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবিসহ পোস্টার বা লিফলেট ছাপাতে পারবেন।
এই বিধিমালার বিধি ৩১ অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে আচরণ বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করলে এটি একটি অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ৬(ছয়) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারে জায়েদা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি, তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নির্বাচনের সমন্বয়ক ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘পোস্টারগুলো আমরা ছাপাইনি। বিভিন্ন এলাকার কর্মী ও সমর্থক নিজেরাই তা ছাপিয়েছেন। এক্ষেত্রে যদি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয় তাহলে আমরা এগুলো সরিয়ে নেব এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলব।’
শিহাব খান/এমটিআই