মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. জাফর আলীকে (৭১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-২ এর একটি দল মঙ্গলবার (৯ মে) দিবাগত রাতে রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুল রোডের আলী নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মো. জাফর আলীসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
একাত্তরের ২৩ মে দিবাগত রাত ১১টার সময় যুদ্ধাপরাধী জাফর আলী ১৫/১৬ জন সশস্ত্র রাজাকার ও ৫/৬ জন পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার মৈশাকান্দা গ্রামের স্বাধীনতাকামী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের নির্যাতন করেন এবং প্রায় ১০/১২টি বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এছাড়া ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ফুলপুর থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী জাফর আলীসহ ২০/২৫ জন সশস্ত্র রাজাকার ফুলপুর থানার পূর্ব বাখাই ও পশ্চিম বাখাই এলাকার স্বাধীনতাকামী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর লুটপাট করে এবং ৯/১০ জন হিন্দু লোককে কংশ নদীর শর্চাপুর ঘাটে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) এ মামলা হয়। ট্রাইব্যুনাল জাফর আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।
জেইউ/একএসএইচ/