বইমেলায় ঢুকতে সতর্কতা ভেতরে উদাসীন
করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যেই চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২১। মেলার কারণে যেন সংক্রমণ না বাড়ে তাই শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে কড়াকড়ি আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। যদিও মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে তা পরিপালনে ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি প্রবেশ গেটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক নিশ্চিত করে তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় প্রবেশ করলেও প্রাঙ্গণে তা মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ দর্শনার্থীর মুখে মাস্ক নেই, থাকলেও নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে। একাধিক স্টলের বিক্রেতাদের মুখেও মাস্ক নেই। কোনো কোনো স্টলে লেখক মাস্ক ছাড়াই অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। আবার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কোনো কোনো পুলিশ সদস্যকেও মাস্ক নামিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
মাস্ক না থাকার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মুখে সারাক্ষণ মাস্ক লাগিয়ে থাকা কষ্টকর। তাছাড়া ভিড় না থাকায় অনেক সময় তারা মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করেন না।
মাস্ক না পরার বিষয়ে এক দর্শনার্থী বলেন, মাস্ক পরেই প্রবেশ করছিলাম, ভেতরে অনেকক্ষণ মাস্ক মুখে ছিল। কিন্তু গরমের কারণে আর পারছিলাম না। একটু পর আবার মাস্ক পরব।
বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধির মানার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি। দর্শনার্থীদেরও এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বেলা ৩টায় অমর একশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার মূল দুই প্রাঙ্গণ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সাজানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের থিমে। অন্যদিকে এবারের বইমেলা মার্চে শুরু হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কাও রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মেলার অকাঠামো নির্মাণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চারটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
করোনারভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় এবার একুশে বইমেলার আয়তন দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট করা হয়েছে। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলেয়ে ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট এবং ৩৩টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি পাঁচটি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।
এইচআর/এসকেডি