অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত বাংলাদেশ-ইইউ
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গল ও বুধবার ব্রাসেলস সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ইইউর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
বিজ্ঞাপন
পৃথক বৈঠকগুলোতে ইইউ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশকে একটি সাফল্যের গল্প বলে অভিহিত করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ইইউর ভূমিকা বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সামাজিক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইবিএ-এর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ।
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইইউকে অবহিত করে ভবিষ্যতে ইইউ-এর আরও বড় ভূমিকা পালনের আশা প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও এলডিসি-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক, ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের অধীনে অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রিন ট্রানজিশন, দক্ষ অভিবাসন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়গুলো বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্ককে আরও সুসংহত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি হিসেবে অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত শুরুর আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্যেও ইইউ-এর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে।
এনআই/এসকেডি