রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকায় মায়ের বকুনিতে অভিমান করে রহিমা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রহিমার বাবা হুমায়ুন কবির জানান, আমি রাস্তায় কলা বিক্রি করি। বাসায় গিয়ে আমি জানতে পারি আমার ছেলে ও মেয়ে দুইজন মারামারি করছিল। ওই সময় এ নিয়ে ওর মা রহিমাকে বকাঝকা করলে অভিমান করে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর আমরা ডাকাডাকি করলেও সে দরজা খুলেনি। পরে জানালা দিয়ে আমরা দেখতে পাই রহিমা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, আমার মেয়ে বাসার পাশেই শুক্কুর আলী গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। আমরা খিলগাঁও মেরাদিয়া পোড়াবাড়ী এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকি। আমাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার হুগ্লাদী গ্রামে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

এসএএ/এফকে