দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নানা-চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে বহুল আলোচিত এ সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ।

সোমবার (০১ মে) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের হাতে উপহার হিসেবে পদ্মা সেতুর একটি বাঁধাই করা ছবি তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে দাঁড়িয়ে সংস্থাটির প্রেসিডেন্টের হাতে পদ্মা সেতুর ছবি তুলে দিয়ে এ যেন মধুর প্রতিশোধ নিলেন শেখ হাসিনা।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের হাতে ছবি তুলে দেওয়া ছাড়াও এই প্রথম বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ছিল এবং বাইরের চাপে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। 

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। যদিও বিশ্বব্যাংক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। পরে কানাডার একটি আদালত রায় দেন পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়া বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নির্মাণে সক্ষম নয় বলেও সে সময় অনেকে মন্তব্য করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে এবং এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুই সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যেটি বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে করেছে।

বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকে বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ওয়াশিংটন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথম কর্মসূচি হিসেবে সোমবার সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি ছবি প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। এই ছবির প্রদর্শনীটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস।

এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব নিযে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিশ্বব্যাংককে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ নেন। এ মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাইরের চাপে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে এসেছিল।

পরে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জেডএস