‘বিশেষ সুযোগ’ নিয়ে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৭৮৬ জন
আট দফা সময় বাড়ানোর পরও যারা হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেনি তাদের জন্য মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ছিল একদিনের বিশেষ সুযোগ। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে একদিনের জন্য নিবন্ধন সার্ভার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই বিশেষ একদিন হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৭৮৬ জন। এরমধ্যে সরকারিভাবে করেছে ৩৭ জন এবং বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৪৯ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমের মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৭৯ জন। সে হিসেবে এখনও ফাঁকা রয়েছে ৬ হাজার ৭১৯ জন। এর মধ্যে সরকারিতে কোটা ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৪০৭ জন। সে হিসেবে বেসরকারিতে ফাঁকা রয়েছে ১ হাজার ৭৯১ জন। এছাড়া সরকারিতে বাংলাদেশের জন্য কোটা রয়েছে ১৫ হাজার। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৭২ জন। সে হিসেবে ফাঁকা রয়েছে ৪ হাজার ৯২৮ জন।
বিজ্ঞাপন
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, সার্ভারে ৬ হাজার ৭১৯ জন দেখা গেলেও এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কোটা সরকারি এবং বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা টিম সদস্যদের দিয়ে পূরণ হবে। সে হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃত কোটা বাকি আছে আর ৩ হাজারের কিছু বেশি। এই কোটা এখন সৌদিকে ফেরতে দিতে হবে।
তিনি জানান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে আজকের নিবন্ধনের জন্য সার্ভার উন্মুক্ত করা হয়। এজেন্সিগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অনেক হাজী হজে যেতে চায়। কিন্তু ১১ এপ্রিলের পর সার্ভার ওপেন না করায় তারা চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারেননি। তাই শেষ সুযোগ দিলে বাকি ৪ হাজার কোটা পূরণ হয়ে যাবে। সে হিসেবে ফাঁকা কোটা পূরণ করার জন্য মঙ্গলবার সার্ভার উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু শেষদিনও হতাশ করার চিত্র পাওয়া গেল। শেষদিন নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৭৮৬ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক কিন্তু এখনো চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি তাদের জন্য এটিই ছিল শেষ সুযোগ। কারণ বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন সৌদি সরকারকে আগামী ৯ মের মধ্যে জানাতে হবে। এজন্য নিবন্ধনের শেষ সুযোগটুকু দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন এমন হজযাত্রীদের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট স্ব স্ব এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করবেন।
এনএম/এসএম