এনআইডি সংশোধনীর ভুল আবেদনে এডিটের সুযোগ থাকছে না
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন আাবেদনে কোনো ভুল হলে এডিট করার সুযোগ থাকছে না। আগে সংশোধনী আবেদনে ভুল হলে ইস্যু ইনকমপ্লিট করে এডিট করার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন থেকে সংশোধনী আবেদনে ভুল হলে আবেদন বাতিল করে নতুন করে ফি জমা দিয়ে ফের আবেদন করতে হবে।
এনআইডি অনুবিভাগের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সই করা এক নির্দেশনায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। যা মাঠ পর্যায়ে সব কর্মকর্তাদের বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিজ্ঞাপন
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন এন্ট্রি সাবমিট হওয়ার পর অথবা সরাসরি উপজেলা অফিস থেকে সংশোধনের আবেদন এন্ট্রি করে সাবমিট করার পর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের অ্যাকাউন্ট থেকে ইস্যু (ক্যাটাগরি পেন্ডিং) করার এখন থেকে আর কোনো সুযোগ নেই। কোনো আবেদন এনআইডিডব্লিউ থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করার পর অফিসার বা অপারেটর কোনো পর্যায়েই ইস্যু ইনকমপ্লিট করার অথবা অন্য কোনো স্ট্যাটাসে নিয়ে কোনো ফিল্ড এডিট করার সুযোগ থাকছে না।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, এনআইডি উইং থেকে অনলাইন এডজুডিকেশন পেন্ডিং স্ট্যাটাস থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করা হবে। তাই কোনো সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার পর যেহেতু কোনো এডিট করার সুযোগ থাকছে না, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সঙ্গে ফিল্ড এডিট করতে উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হলো। কারণ এন্ট্রিতে কোনো ভুল হলে পুনরায় ফি দিয়ে নতুন আবেদন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। আর নতুন আবেদন করার আগে অবশ্যই আগের আবেদন বাতিল করতে হবে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা; জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে আবেদন এপ্রুভ/ক্যান্সেল/রিজেক্ট করার পর কোনো আবেদনের স্ট্যাটাস পরিবর্তন না করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
কর্মকর্তারা জানান, অনেকেই একটি আবেদন করার পর সেখানে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে এডিট করে নিতেন। কিন্তু এখন থেকে সেই সুযোগটি আর থাকছে না। এখন থেকে আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার আগেই ভালো করে দেখে নিতে হবে। অন্যথায় আগের আবেদনটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে। বর্তমানে আবেদনের ধরন ভেদে ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ফি দিতে হয় বলে জানান কর্মকর্তারা।
এসআর/জেডএস