ভোগান্তি ছাড়াই জীবন্ত প্রাণী দেখলেন লাখো দর্শনার্থী
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এমন আনন্দের দিনে বিনোদনের অংশ হিসেবে রাজধানীবাসী বেছে নিয়েছেন মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। আজ এক লাখের মতো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
চিড়িয়াখানার দর্শনার্থী হিসেবে কোলের শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবাই ছিলেন। কোনো শিশু বাবার কাঁধে চড়ে, কোন শিশু দাদার হাত ধরে, আবার কেউ কোলে চড়ে দেখেছে পছন্দের প্রাণীগুলো। কেউ আবার ঢাকার বাইরে থেকেও দল বেঁধে এসেছেন এখানে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, দর্শনার্থীদের ভ্রমণের জন্য সকাল সাড়ে ৯টায় চিড়িয়াখানার গেট খোলা হয়। সকালের দিকে তেমন দর্শনার্থী না থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে কিছু কিছু দর্শনার্থী আসতে শুরু করেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ সিরিয়াল লেগে যায় টিকিট কাউন্টারে। অতিরিক্ত দর্শনার্থী সামাল দেওয়ার জন্য আগে থেকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বাঁশের জিগজ্যাগ তৈরি করে রেখেছিল।
মিরপুর ২ নম্বর থেকে চিড়িয়াখানায় নাতিনকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন আলীম উদ্দিন সরকার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাসা এখানেই। নাতিকে নিয়ে দুপুরের পর এখানে ঘুরতে এসেছি। নাতির সঙ্গে আমারও ভালো সময় কাটলো। সেও চিড়িয়াখানার জীবন্ত প্রাণীগুলো দেখে আনন্দিত হলো। শেষ বয়সে আমার ঈদ আনন্দ এখানেই।
হামিদুর রহমান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, আমি উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। আজকের মতো নিরাপদ কখনোই মনে হয়নি চিড়িয়াখানায়। কোন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়নি, কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। সব ছিল শৃঙ্খলা মতো। চিড়িয়াখানা আজকের মতো যদি নিরাপদ সবসময় থাকে, তাহলে দর্শনার্থী আরও বাড়বে।
মানিকগঞ্জ থেকে ৬ বন্ধু মিলে ঘুরতে এসেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানায়। তাদের একজন মশিউর রহমান বলেন, ঈদের দিন বাড়িত আনন্দ হিসেবে আমরা এখানে ছয় বন্ধু ঘুরতে এসেছি। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে খাবার খেয়েই বেরিয়ে পড়েছিলাম। চিড়িয়াখানায় আজকে অনেক সময় কাটিয়েছি। খুবই আনন্দময় একটা সময় কেটেছে আজকে আমাদের।
সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ধারণা করছি আজকে এক লাখের কাছাকাছি দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের ভোগান্তিহীন চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করাতে।
তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীদের ভোগান্তি যেন না হয় সেই বিষয়ে পর্যবেক্ষণ রাখতে জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১৪ জন পরিচালক চিড়িয়াখানায় উপস্থিত ছিলেন। চিড়িয়াখানার দর্শনার্থী এবং প্রাণীদের যেন কোন অসুবিধা না হয় এজন্য তারা চিড়িয়াখানা বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এমএইচএন/এসকেডি