ঈদযাত্রা
গাবতলীতে হাঁক-ডাকে চলছে টিকিট বেচাকেনা
বগুড়া যাবেন মুরাদ হোসেন। আগাম টিকিট কাটার প্রয়োজনই বোধ করেননি, কাউন্টারে এসে চলতি বাসে উঠে পড়ার পরিকল্পনা থেকেই ব্যাগ গুছিয়ে গাবতলীতে আসেন তিনি।
মুরাদ বলেন, এবারের ঈদযাত্রার খবর নিয়েছি, কোথাও কোনো সমস্যা নেই। গাবতলীও ফাঁকা। সিটও পাচ্ছেন যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে হাঁক-ডাকে বেচাবিক্রি করতে হচ্ছে দূরপাল্লার ঈদযাত্রার টিকিট। যাত্রীরা তাদের পছন্দের বাসের টিকিট কেটে যেতে পারছেন গন্তব্যে। তাদেরই একজন মুরাদ হোসেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর কল্যাণপুর ও টেকনিক্যালে বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, উপচে পড়া কোনো ভিড় নেই। সময়মতো কাউন্টার থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে বাস। তবে অধিকাংশ কাউন্টার খালি। হাঁক-ডাক করতে দেখা যাচ্ছে কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতাদের।
কল্যাণপুর গ্রামীণ ট্রাভেলসের টিকিট বিক্রেতা রমজান আলী জানান, অন্যান্যবারের সঙ্গে এবারের ঈদযাত্রা তুলনা করা যাচ্ছে না। কাউন্টারের অবস্থা দেখে ভাবার কোনো উপায় নেই যে ঈদে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। দুই-চারজন করে যাত্রী আসছেন। সবাই ডাকাডাকি করছেন। যাত্রীর যেখানে ভালো লাগছে সেই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট নিচ্ছেন।
রাজবাড়ী রুটের টিকিট বিক্রেতা আফসার আলী বলেন, যাত্রী খুব বেশি নেই, যারা আসছেন তাদের ধরতে হাঁক-ডাক করতে হচ্ছে। যেন যাত্রীর চেয়ে কাউন্টারের সংখ্যাই বেশি।
গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা আসছেন কাউন্টারে। টিকিটের দাম দরকষাকষি করছেন। হাঁক-ডাক ছেড়ে গন্তব্যের নাম উল্লেখ করে ডাকাডাকি করছেন টিকিট বিক্রেতারা।
সাতক্ষীরা রুটের দ্যুতি পরিবহনের যাত্রী মিনহাজ বলেন, এ বাসেই ঈদে যাওয়া আসা করি। কিন্তু পদ্মাসেতুর কারণে অনেকে এ রুটে আর যান না। আমি যাচ্ছি রাস্তা ফাঁকা দেখে। ভাড়াও তুলনামূলকভাবে কম পাচ্ছি।
দক্ষিণবঙ্গ রুটের গাবতলী হানিফ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা জানান, টিকিট আছে যাত্রী নেই। বাসের প্রতি ট্রিপেই কমবেশি সিট খালি যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর রুটের আনন্দ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে কথা হয় টিকিট বিক্রেতা শামসুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, সব কাউন্টারেই রয়েছে যাত্রীর টান। তাই হাঁক-ডাক করেই যাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হচ্ছে।
জেইউ/এফকে