ঈদযাত্রায় নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালানোর অনুরোধ
ঈদযাত্রায় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন এবং অধিক মাত্রায় দুর্ঘটনায় পড়েন। ফলে বহু পরিবারে ঈদের আনন্দ শোকে পরিণত হয়। তাই দুর্ঘটনারোধে নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালাতে অনুরোধ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। যৌথভাবে এ বিবৃতি দেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ফেরদৌস খান এবং উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. মো. তৌফিকুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে এবার প্রায় ১ কোটি মানুষ আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য ঢাকা ছাড়বেন। এছাড়া ঈদের ছুটিতে আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবেন প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ। মাত্র কয়েকদিনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে যাতায়াত করার মতো মানসম্মত গণপরিবহন আমাদের নেই। আমরা ইচ্ছা করলেই হঠাৎ করে যানবাহনের সংখ্যা বাড়াতে পারব না। তাই যা আছে তা দিয়েই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারি।
এই সতর্কতা সব ধরনের মোটরযান চালক, হেলপার ও যাত্রীদের সতর্ক হওয়া উচিত। গাড়ির মালিকদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, তাদের দায়িত্ব চালকদের নিয়ন্ত্রিত গতি ও সচেতনভাবে গাড়ি চালাতে উৎসাহিত করা। এসব সতর্কতা অবলম্বনে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি গণমাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা চালায় তাহলে দুর্ঘটনা বহুলাংশেই রোধ করা সম্ভব।
অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বেপরোয়া গতি ও অস্বাভাবিক আচরণ। তাই নিয়ন্ত্রিত গতিতে যানবাহন চালাবেন। যানবাহনের ৬০ কিলোমিটার গতির পরে প্রতি ৫ কিলোমিটার গতি বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে ২ থেকে ৪ গুণ। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। মনে রাখতে হবে, আমাদের জীবনে পরিবার অধিক মূল্যবান। পরিবারের কথা মনে করেই আমাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবোধকে পরিবারের মায়া-মমতা ও মূল্যবোধের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। যাত্রাপথে আমাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত পরিবারের সব স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারোধ পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে আমাদের আচরণ সুতা ছেড়া ঘুড়ির মতো এলোমেলো হয়ে যায়। তাই চিন্তা-ভাবনায় সবসময় পরিবার ও আপনজনদের সংযুক্ত রাখুন। নিজে নিরাপদে থাকুন এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান হোন। এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা।
/এমএইচএন/এমএ