প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রপ্তানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন বাজার বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি, সেবাখাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি, বেসরকারি খাতকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৬ এপ্রিল) ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ বিতরণ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য সামস্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যেসব প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়ে বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা হলে, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণে তা সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার ব্যবসায় বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোট রপ্তানি আয় ছিল ১৫.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত বছরগুলোতে  অব্যাহত নীতি সহায়তার ফলে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬০.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য খাতের অর্জিত আয় ৩৭.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের রপ্তানি আয় ৩৩.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৯.৫৬ শতাংশ বেশি। 

তিনি ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। 

জেডএস