তীব্র গরমে সব থেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

আবহাওয়া বার্তায় নেই সুখবর। তাপদাহ চলছে তো চলছেই। কখনো ৩৫-৩৭ আবার কখনো সেই তাপমাত্রা পৌঁছে যাচ্ছে ৩৮-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রচণ্ড গরমে কারো যাচ্ছে ঠোঁট শুকিয়ে আবার কারো হাত-মুখে জ্বলে যাওয়ার উপক্রম। রমজান মাসে চলা এ তাপদাহের কারণে রাজধানীতে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।  

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা শহরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। যদিও সেটা জনজীবনে অনুভূত হচ্ছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে গরমের তীব্রতা কামার সম্ভাবনা নেই। তবে ১৭ এপ্রিল থেকে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন : তাপ প্রবাহে হিট স্ট্রোক ও করণীয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান তাপদাহে বাতাসে আদ্রতা কমে গেছে। বাতাসে আগের তুলনায় জলীয়বাষ্প কমে যাওয়ায় এ গরমে মানুষের হাত-মুখ শীতের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে। 

বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, কারওয়ান বাজার ও পান্থপথ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমে অল্প কাজ বা হাঁটাচলা করে হাঁপিয়ে উঠছেন অনেকে। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সুযোগ পেলেই ছায়ায় গিয়ে জিরিয়ে নিচ্ছেন তারা।  

সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র এ তাপদাহে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কায়িক পরিশ্রম করে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন তারা। কিন্তু উপায় না থাকায় পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়া মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দ্রুত।

পান্থপথ এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ রিকশাচালক মো. সাদ্দাম বলেন, সারা রাত ঘুমানো যায় না গরমের ঠেলায়। আর দিনে গাড়ি (রিকশা) নিয়ে বের হলেও রোদের তাপে বাঁচা যাচ্ছে না। তবে কী আর করার, পেটের জ্বলায় এ কষ্ট করতে হচ্ছে।

বাড্ডা এলাকায় নির্মাণশ্রমিক মো.আবুল বলেন, গত তিন দিন ধরে তাপে পুড়ে পাইলিংয়ের কাজ করতে হচ্ছে। দুপুরের দিকে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কবে একটু বৃষ্টি হবে আল্লাহ জানে। 

এমএসি/এসকেডি