ঘুষের অভিযোগ, অভিযানে দুদক দেখল রুমে তালা ও ফোন বন্ধ
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন রেকর্ড কিপারের বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন পাইয়ে দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি রেকর্ড কিপারকে। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অন্যান্য কর্মকর্তাদের পেলেও রেকর্ড কিপার কামরুল ইসলামের রুম তালাবদ্ধ অবস্থায় পায়। শুধু তাই নয় রেকর্ড কিপারকে ফোন দিলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সেকশন অফিসার ও রেকর্ড কিপারের বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন পাইয়ে দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিমের সদস্যরা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক(ভূমি) করে। অভিযোগকারীর আবেদনপত্র সংবলিত নথি সংগ্রহ করে উক্ত নথির সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখেন। এমনকি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সেকশন অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়- প্লটের পূর্ববর্তী মালিকের বরাদ্দের নথি ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রেকর্ডরুমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মূল অভিযুক্ত রেকর্ড কিপার কামরুল ইসলামকে এ সময় খুঁজলেও তাকে পায়নি দুদক টিম। খোঁজ করা হলে তার কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় ও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।
একই দিন ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নতুন যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, গাড়ির মালিকানা বদল ও অন্যান্য সেবা প্রদানে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের ঠাকুরগাঁও অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দুদক টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে বিআরটিএ অফিসে সেবাপ্রার্থী সেজে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানি ও দুর্নীতি রয়েছে কি-না তা যাচাই করে। এ সময় দুদক টিমকে বহিরাগত কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে দ্রুত লাইসেন্স প্রদানের আশ্বাস দিলেও এর সাথে অত্র অফিসের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কিনা সে সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।
আরএম/এমজে