বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লেখার অপচেষ্টা হয়েছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা সেই অভাগা জাতি যারা নিজের জাতির পিতাকে হত্যা করেছি৷ এটা লজ্জার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হতো না। তবুও এই দায় এড়ানো যায় না। বঙ্গোপসাগরের সব জল দিয়ে গোসল করলেও আমরা কলঙ্কমুক্ত হবো না৷ আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি৷ ছোট শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লেখা শুরু করার অপচেষ্টা হয়েছে৷ কিন্ত এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে ছিলেন।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা শাখার তৈরিকৃত বঙ্গবন্ধুর গোয়েন্দা ফাইলগুলোর প্রথম খণ্ড নিয়ে নির্মিত ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থেকেও যে যেকোনো আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। তাই লিপিবদ্ধ ছিল এই গোয়েন্দা রিপোর্টে। বঙ্গবন্ধু ন্যায়ের জন্য আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। সুশাসন ও স্বশাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সেই জন্যই বাঙালির হৃদয় জয় করেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধু জেলে গেলেন তখন সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমেছিল৷
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, এই শর্ট ফিল্মটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষকদের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের একটি সমৃদ্ধ উৎস হবে। কারণ এতে উন্মোচিত হয়েছে, কীভাবে সদ্য জন্ম নেওয়া পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল।
ডকু-ফিকশন ফাইল নম্বর ৬০৬ উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে বক্তব্য রাখেন- প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নক্ষত্রের ডা. মুশফিকা রহমান, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, চিত্রগ্রাহক রাকিবুল হাসান, নির্বাহী প্রযোজক অপরাজিতা সংগীতা, শিল্প নির্দেশক রবি দেওয়ানসহ সরকারের নিরাপত্তা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ছবিটির সাথে সংশ্লিষ্ট নির্মাতা, অভিনেতা শিল্প ও কলাকুশলীবৃন্দ৷
ওএফএ/এনএফ