আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীকে দল থেকে কে মনোনয়ন দেবেন, তা আগামী দুই দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হচ্ছে শেষ সময়।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১২ এর উপবিধি (৩) এর দফা (গ) এর উপদফা (ইইই) অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকবে যে, ওই প্রার্থীকে ওই দল হতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কোনো রাজনৈতিক দল কোনো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করতে পারবেন না। একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনে উক্ত দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি, নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি পত্র তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রেরণ করবে এবং ওই পত্রের একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশনেও প্রেরণ করবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা, আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে।

এসআর/ওএফ