যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, কিছু গণমাধ্যম এখন নগ্ন ভাবে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। যার ন্যক্কারজনক বহিঃপ্রকাশ সম্প্রতি জনগণের সম্মুখে এসেছে প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটাকে শুধু হলুদ সাংবাদিকতা বলা যায় না। এ ধরণের সাংবাদিকতা সমগ্র সাংবাদিক পেশাজীবীদের কলঙ্কিত করেছে। 

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিশুর সরলতাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকের সন্তান হিসেবে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। আমি প্রথম আলোকে প্রত্যাখ্যান করে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি। চক্রান্তকারীরা দেশটাকে ঝুঁকিপূর্ণ, সংকটময় ও রাষ্ট্রকে ব্যর্থ দেখানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেই একটা স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, একটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীল নকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে যে, সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছেন। আর এ নীল নকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা। 
 
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা মনে করছেন, তারা যদি নির্বাচনে না অংশগ্রহণ করে, সংসদ নির্বাচন বৈধতা পাবে না। এ বলে তারা আমাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের স্মরণ করিয়া দিতে চাই, এর আগেও তারা নির্বাচন বয়কট করেছে। তাতে বৈধতার কোনো সংকট হয়নি। নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ বৈধতা পেতে কোনো ঘাটতিও হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এত নিকৃষ্ট বিএনপির রাজনীতি যে, আজকে বঙ্গবাজারে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডি নিয়েও তারা অপরাজনীতি করে।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, হাবিব হাসান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ। 

এমএসআই/এসকেডি