শুরু হলো জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৩ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনটি শুরু হয়েছে। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার বিশেষ অধিবেশনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এরপর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হচ্ছেন– এইচ এন আশিকুর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, মকবুল হোসেন, কাজী ফিরোজ রশীদ ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অগ্রবর্তিতার ভিত্তিতে সংসদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

অধিবেশন শুরুর দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৭ এপ্রিল) শুরু হবে বিশেষ অধিবেশন। এ দিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের বৈঠক। এ বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্মারক বক্তৃতা দেবেন। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এটিই হয়ত সংসদের শেষ ভাষণ। আগামী ২৩ এপ্রিল তার দুই টার্মের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরদিন শনিবার সকালে শুরু হবে সংসদের বৈঠক। ওই বৈঠকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব তুলবেন। এরপর তিনি ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করবেন। পরে দুই দিনব্যাপী সাধারণ প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন। এরপর তা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছিল। এই হিসাবে এবার সংসদ সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। এ উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী আরও কিছু কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসআর/এসএসএইচ/