রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্ণা আক্তার ইতিকে (১৯) কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টায় বাড্ডা থানাধীন আনন্দনগর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালী ও শাহজাহান।

আরও পড়ুন>>ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কুপিয়ে মোবাইল ছিনতাই

রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্ণা আক্তার ইতিকে (১৯) কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টায় গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তয়াছির জাহান বাবুর নেতৃত্বে বাড্ডার আনন্দনগরে অভিযান চালায় পুলিশের একাধিক টিম। অভিযানে রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালী ও শাহজাহান।

পরবর্তীতে তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, একটি রক্তমাখা শার্ট ও অপর্ণার কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত রোববার (২ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১১টায় প্লাটিনাম জিম থেকে পায়ে হেঁটে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন অপর্ণা। পথিমধ্যে আফতাবনগর সি ব্লকের ইম্পেরিয়াল কলেজের সামনে মেইন রোডে পৌঁছালে দুজন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। পরে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ও ভিকটিমের হাত থেকে একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন>>শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মামলা করবেন ইস্ট-ওয়েস্টের সেই ছাত্রী

ছিনতাইয়ের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গুলশান বিভাগের বাড্ডা থানার একাধিক পুলিশ টিম ঘটনার রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেপ্তার ও মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির সমন্বয়ে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হয়। তবে দুই ছিনতাইকারী অত্যন্ত চতুর হওয়ায় বারবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনের চেষ্টা করে। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে গত রাতে আনন্দনগর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী উল্লেখ করে ডিসি আহাদ বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্ণাকে কুপিয়ে আহত ও ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মোহাম্মদ আল আমিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাদের বিরুদ্ধে দস্যুতা মামলা হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে, ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার ইমরানের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সাতটি ও শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।

জেইড/কেএ