প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ মাছ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‌‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’।

তিনি বলেন,  দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০ জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। ১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করা। 

শ ম রেজাউল আরো জানান, জাটকা নিধনে সবচেয়ে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯৮৭ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪ টি বেহুন্দি জাল, ৫৪৯ দশমিক ১৯ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।  

তিনি জানান, ২০২২ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজননক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরেছে, যা ২০০১-০২ অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেশি। 

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

এমএ