স্বাধীনতাকে নিরাপদ করার চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে : তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ষড়যন্ত্র থাকবে তা মোকাবিলা করে স্বাধীনতার সুফল জনজীবনে পৌঁছাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতা অর্জনে যেমন ৩০ লাখ জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে তেমনি রক্ষার জন্য কম ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি।
বুধবার (২৯ মার্চ) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, পরাধীন জাতি স্বাধীনতার গুরুত্ব সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবে। পরাধীন জাতি হীনমন্যতায় ভোগে, তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নেই এবং কোন লক্ষ্যও নেই। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতাশাময় পরাধীনতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেনা শাসন এবং বিএনপি জামায়াতের সময়কালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, একটি আইনানুগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। দেশের জনগণ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের নেতৃত্বে দাঁড় করিয়েছিলেন দেশকে শাসন করার জন্য কিন্তু পাকিস্তান সরকারের ষড়যন্ত্রে আমাদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতাই এনে দেননি, আমাদের স্বাধীনতাকে শক্ত ভিত্তির উপরও তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন। স্বাধীনতাকে নিরাপদ করার চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে, ষড়যন্ত্র এখনো চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র ও বাধাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, যে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন এবং প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিএনপি সেই ব্যবস্থাকেও কলুষিত এবং নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার ফলে আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন, স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন।
এমএম/এসকেডি