জাল সনদে পাওয়ার গ্রিডে চাকরি, ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জন্ম তারিখের ভুয়া সনদপত্র তৈরি করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) জুনিয়র তড়িৎবিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জি এম আহসানুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) জুনিয়র তড়িৎবিদ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. শামছুর রহমান, শৈলাকুপার বেণীপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৫ নং কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. সালাউদ্দিন জোয়াদ্দার মামুন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. শামছুর রহমান ১৯৯০ সালে বেণীপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৯৩-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। ১৯৯৫ সালে উক্ত বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে যশোর বোর্ড থেকে প্রথম শ্রেণিতে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি)-এর বিভিন্ন প্রকল্পে ‘কাজ নাই, বেতন নাই' ভিত্তিতে গাড়ি চালক পদে চাকরি করেন। ওই সময় এসএসসি পাসের সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দাখিল করেন। যেখানে জন্ম তারিখ ছিল ১৯৮০ সালের ২৪ জুন। কিন্তু পিজিসিবির রাজস্ব খাতের ‘টেকনিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট’ পদে চাকরি নেওয়ার সময় ৩০ বছরের বয়সসীমা ঠিক রাখতে ১৯৮২ সালের ২৪ জুন জন্ম তারিখ উল্লেখ করে ৮ম শ্রেণি পাসের একটি ভুয়া সনদপত্র দাখিল করেছেন। ওই সনদেই ২০১৩ সালের ১২ মে পিজিসিবির জিএমডি, ঢাকা সেন্ট্রাল দপ্তরে টেকনিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে চাকরিতে স্থায়ী হন। পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধান ও পিজিসিবির বিভাগীয় তদন্তে ওই কাগজপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরএম/এসকেডি