দুবাই থেকে আসার কথা ছিল মোটর, কনটেইনার খুলে মিলল গুঁড়ো দুধ
চট্টগ্রাম বন্দরে দুবাই থেকে আসার কথা ছিল ইলেকট্রনিক মোটর। কিন্তু কনটেইনার খুলে গুঁড়ো দুধের দেখা পেল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপরই কনটেইনারটি আটক করা হয়। এর ফলে ভেস্তে গিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির পরিকল্পনা।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলেকট্রিক মোটর আমদানির ঘোষণা দেয়। এরপর গত ১৩ মার্চ শিপিং এজেন্ট চট্টগ্রামের বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে দুবাই থেকে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। কিন্তু পনের দিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেননি। মূলত কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিল আমদানিকারক। কিন্তু পণ্য চালানের ধরনের সঙ্গে অসামঞ্জস্য হওয়ায় চালানটির বিল অব লোডিং ব্লক করে নজরদারিতে রাখে কাস্টমসের এআইআর শাখা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার দুপুরে কনটেইনারটি বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপডাউন করে দেওয়া হয়। এরপর কনটেইনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে কনটেইনারটিতে ইলেকট্রনিক মোটরের পরিবর্তে ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইলেকট্রিক মোটরের শুল্কহার মাত্র ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ। বিপরীতে গুঁড়ো দুধের শুল্ক ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। মিথ্যা ঘোষণায় চালানটি আমদানির মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় সেটি প্রতিহত করা হয়েছে।
এমআর/এমজে