ভর্তুকি থেকে বের হয়ে গেলে কৃষিপণ্যের দাম বেড়ে যাবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতেই হবে।আমরা এখনো পুরোপুরি ভর্তুকি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নই। আমাদের ১২ লাখের বেশি ডিজেল পাম্প রয়েছে। যাতে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হয়। সারে ৭০-৮০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে হয়। ভর্তুকি থেকে যদি আমরা বেরিয়ে যাই তাহলে কৃষিপণ্যের দাম অনেকগুণ বেড়ে যাবে। সুতরাং এখনই ভর্তুকি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়।
সোমবার (২৭ মার্চ) বুয়েটে আয়োজিত ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে যোগ্য লোকবলের সংস্থান একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রচুর ইনফ্রাস্ট্রাকচার হচ্ছে। কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এনার্জি ইকোনমির ভূমিকা দিন দিন বাড়ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, এনার্জি খাতে রিসার্চের মাধ্যমে অনেক দেশ হাইড্রোজেন এনার্জিতে ধাবিত হচ্ছে। তবে ফসিল ফুয়েল এখনো কন্টিনিউ করছে। যদিও আগামী ৩০ থেকে ৩৫ বছরের আগে ফসিল ফুয়েল থেকে বের হওয়া সম্ভব না। যারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলছে, তারাই কিন্তু আবার ফসিল ফুয়েলে ফিরে আসছে। সুতরাং আমাদের মতো দেশে রিসার্চটা করতে হবে বিষদভাবে।হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সেই রিসার্চটা করার সু্যোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল যে বেজলোডে কত দ্রুত যেতে পারবো। এরইমধ্যে বিদ্যুৎ বেজলোডে দাঁড়িয়ে গেছে। আগামী এক দুই বছরের মধ্যে নিউক্লিয়ার পাওয়ার চলে এলে সেটা আরো শক্ত অবস্থানে পৌঁছাবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, জ্বালানি বিভাগের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
ওএফএ/জেডএস