তিস্তায় খাল খনন নিয়ে কূটনৈতিক পত্রের জবাব দেয়নি ভারত
তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খননের বিষয়ে জানতে চেয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া কূটনৈতিক পত্রের (নোট ভারবাল) জবাব এখনো দেয়নি ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতীয় হাইকমিশনকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছি। সেই কূটনৈতিক পত্রের উত্তর এখনো আসেনি। উত্তর আসলে এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।
গত ১৯ মার্চ তিস্তার পানি প্রত্যাহারে দুটি খাল খননের বিষয়ে নয়া দিল্লির কাছে কূটনৈতিক পত্র পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এর আগে, খাল খননের বিষয়ে নয়া দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য প্রায় এক হাজার একর জমির মালিকানা পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে সেচ বিভাগকে জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছে জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসন। এ জমির মাধ্যমে তিস্তার পূর্ব তীরে দুটি খাল খনন করবে প্রশাসন।
মার্কিন প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বসছে ঢাকা
বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করবে ঢাকা। এ নিয়ে খুব শিগগিরই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করবে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনের পয়েন্টগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানকার পয়েন্টগুলো যাচাই-বাছাই করতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরানো নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, বিদেশ থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। এটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আমরা আশাবাদী।
মানব পাচারের অভিযোগে সৌদি আরবে আটক বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস খোঁজ-খবর রাখছে। আটক ছয় নাগরিকের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। দূতাবাস এ নিয়ে কাজ করছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন থেকে অর্থ বেহাত হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেখানের মিশনে এটি জানতে চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেলে পরবর্তীতে জানানো হবে।
এনআই/কেএ