জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসিকে সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ডস
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গুলশানের নগর ভবনে মেয়র আতিকুল ইসলামের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সিস্টেম, রিটেন পন্ড ও খালগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহ দেখান রাষ্ট্রদূত।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসির আওতাধীন খাল দখলমুক্তকরণ ও খনন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করেন ডিএনসিসি মেয়র। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওপেন স্পেস ও জলাধারগুলো প্লটে রূপান্তর করে নির্মাণ হচ্ছে নতুন নতুন ভবন। এই শহরকে বাঁচাতে হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের জলাধারগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস আমাদেরকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পারিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মেয়র বলেন, নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোতে দৃষ্টিনন্দন খাল দেখেছি। খালগুলোতে নৌ-যান চলাচল করে। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেদারল্যান্ডসের উত্তম কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।
এসময় ডিএনসিসি এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সিস্টেম, রিটেন পন্ড ও খালগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসকে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ম্যানেজমেন্ট, ও খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে আগ্রহী। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফোলকার্ট ডি জ্যাগার ও ইকোনোমি অ্যান্ড কমার্শিয়াল বিষয়ক উপদেষ্টা মন্নুজান খানম।
এএসএস/কেএ