রোহিঙ্গা সংকট আরও দীর্ঘায়িত হলে এ অঞ্চলে নিরাপত্তায় প্রভাব পড়বে। সেজন্য রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আসিয়ান ও ভিয়েতনামের কাছ থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বুধবার (২২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী এ ভিয়েতনামের কাছে এ সহায়তা চান।

শাহরিয়ার আলম আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে দ্রুততার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিয়েতনামের সহায়তা চান।

বৈঠকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সংকট নিরসনে ভিয়েতনামের ক্রমাগত সহায়তার প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত চলতি বছর দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বিনিময় করেন।

স্বাধীনতার জন্য উভয় দেশের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান নেতা হো চি মিনের মতো ক্যারিশম্যাটিক ও দূরদর্শী নেতা পেয়ে উভয় দেশই সৌভাগ্যবান। তারা উভয়েই নিজ নিজ জাতির মুক্তির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০-এর অধীনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন। তারা দুই দেশের বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী-রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাজমুল হুদা উপস্থিতি ছিলেন।

এনআই/এসকেডি