বৃষ্টির ১৫ মিনিটের মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন ডিএসসিসির লক্ষ্য
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ঢাকা শহরে অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা নিরসন। ঢাকাবাসীকে জলমগ্নতার দুর্দশা হতে রক্ষা করতে ডিএসসিসির পূর্ণ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) যাত্রাবাড়ীর ধলপুর আউটফল এলাকায় কেন্দ্রীয় যানবাহন বিরামাগার (মটর গ্যারেজ) নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা নর্দমাগুলো পরিষ্কার করছি। ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও নর্দমাগুলো পাওয়ার পর থেকে আমরা বছরের প্রথম থেকেই এগুলো পরিষ্কার শুরু করি, যাতে করে জলাবাদ্ধতা না হয়। আপনারা দেখেছেন এরই মাঝে কয়েক পসলা বৃষ্টি হয়েছে। তাতে ডিএসসিসির কোথাও কোনো জলমগ্নতা হয়নি। এজন্য আমাদের যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সেগুলো আমরা করে চলেছি, যাতে করে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমরা পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি।
কেন্দ্রীয় যানবাহন বিরামাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, এই জায়গায় ১৫ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগতরা দখল করে রেখেছিল। আমরা সেটা পূর্ণভাবে দখলমুক্ত করেছি। এর মধ্যে পাঁচ একর জমিতে আমাদের যারা কর্মচারী তাদের এবং তেলেগু সম্প্রদায়ের ১২৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। বাকি ১০ একর ৭ শতাংশ জমিতে আমাদের সকল যান-যন্ত্রপাতি, গাড়ি রাখার জন্য একটি আধুনিক বিরামাগার স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এটা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। এ প্রকল্পে সর্বমোট ৩৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ডিএসসিসির গাড়ি ও যান-যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, এর মাধ্যমে সকল গাড়ি, যান-যন্ত্রপাতি রাখতে আর কোনো অসুবিধা হবে না। মেরামত ও ধোয়া-মোছার জন্য আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা এখানে থাকবে। এখন আমাদেরকে অনেক গাড়িই বাইরে রাখতে হচ্ছে, রাস্তার উপর রাখতে হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হচ্ছে। (কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ নির্মাণ সম্পন্ন হলে) এটা আর হবে না। এককভাবে একটি কেন্দ্রীয় বিরামাগারে গাড়ি রাখার সংস্থান হবে ও এর মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এখানে যে তেলেগু সম্প্রদায় রয়েছে তাদের মধ্যে যদিও ১২৬টি পরিবার আমাদের কর্মচারী না। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও আমাদের প্রায় ৮০০ এর মতো কর্মচারী আছে, তাদেরকেও আমরা এই পাঁচ একরে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। এখানে অনেকগুলো ভবন করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য এখানে আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ও নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ একর জমিতে নতুন আবাসিক ভবন হবে। সেখানে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য বরাদ্দ দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ও অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জয়।
এএসএস/কেএ