জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সারা দেশের বাজারগুলোতে পণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি হলে বা কোনো ক্ষেত্রে বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটি ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ভোক্তাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। 

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজার তদারকি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। মূলত, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে সমন্বিতভাবে এই বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।  

আরো পড়ুন>>ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে ব্রয়লার

মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ‘পণ্য কিনি প্রয়োজনে, মূল্য রাখি নিয়ন্ত্রণে’-এই স্লোগানে তদারকির সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। বাজার ঘুরে আমরা দেখেছি কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। দু’একটি পণ্যের দাম কিন্তু কমেছেও। এখন শুধুমাত্র অস্থিরতা রয়েছে ব্রয়লার মুরগির বাজারে। ভোক্তা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার ওপরে হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি এবং সরকারের কাছে আটটি সুপারিশ জমা দিয়েছি। আশা করব সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তারা অবশ্যই ভোক্তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য ব্রয়লারের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। 

সারা দেশেই আজ বাজার তদারকি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ করে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যান্যদের কাছে প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সারা দেশেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যেন সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। রমজানে যে কারণে বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায় সেগুলো আমরা বের করেছি। কারসাজি বন্ধের জন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। 

আরো পড়ুন>>দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধ্যের মধ্যে কোনটা?

এর আগে তিনটি সংস্থার সমন্বিত পরিদর্শকরা বাজার ঘুরে দেখেন এবং নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম না রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা।

আরএইচটি/এমএ