ইভিএম মেরামতে ১২৬০ কোটি টাকা চায় ইসি
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের জন্য সরকারের কাছে ১ হাজার ২৬০ কোটি বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হাতে থাকা মেশিনগুলো মেরামতের জন্য ১২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই বিষয়টিই উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছিলেন, হাতে থাকা দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ৪০ হাজার মেরামত অনুপযোগী। অবশিষ্ট ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতে জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদা কমিশন। সে সময় জাতীয় নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছিল তারা। বাকিগুলো বিভিন্ন আসনের উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। কিছু মেশিন বিএমটিএফ-এর ওয়্যারহাউজে সংরক্ষিত আছে।
সবমিলিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হবে। সেগুলোই এখন মেরামত করার ওপর নির্ভর করবে সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারযোগ্য মেশিনের সংখ্যা। আর এটি নির্ভর করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া অর্থ বরাদ্দের ওপর।
কাজী হাবিবুল আউয়াল গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্বে নেওয়ার পর বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা হাতে নেন। এজন্য প্রায় চার লাখ মেশিনের প্রয়োজন পড়ে। এতে আরও দুই লাখ মেশিন ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রস্তাব দেয় সরকারের কাছে। কিন্তু বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি ‘আপাতত স্থগিত’ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় পরিকল্পনা কমিশন। এই অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠিক কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।
এসআর/এসকেডি