ওয়াসার পানির দাম জোনভিত্তিক হওয়া উচিত
ওয়াসার পানির দাম জোনভিত্তিক নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসার বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার অভিজাত এলাকার পানির মূল্য আর দরিদ্র জনবহুল এলাকার পানির মূল্য একই হওয়া বৈষম্যমূলক। একসময় পানির জন্য হাহাকার হতো আন্দোলন হতো, ডিজগাস্টিং সিচুয়েশন ক্রিয়েট হতো। আজ ঢাকা ওয়াসা সে অবস্থান থেকে ফিরে এসেছে। আপনি যখন গুলশানে থাকবেন তখন পানির দাম ১৫ টাকা, আবার যাত্রাবাড়ীর দিকে যখন থাকবেন সে পানির দামও ১৫ টাকা। এছাড়া ঢাকার আশেপাশে যারা থাকছেন যেখানে ওয়াসা সার্ভিস দিচ্ছে সেখানেও পানির দাম ১৫ টাকা। কিন্তু আপনি গুলশানে থাকবেন, এক্সট্রা ফ্যাসিলিটিজ নিচ্ছেন, তাহলে আপনার কাছে তো পানি একই দামে বিক্রি করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকার নাগরিক সুবিধা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে শহরে নাগরিকদের দুর্ভোগ কমবে না। এজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার ওপর জোর দিতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস কিংবা পানি যেকোনো ইউটিলিটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। সেই তুলনায় জনসংখ্যা অতিরিক্ত হলে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে এবং সেবা দেওয়া বিঘ্নিত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে ওয়াসার রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ৪০০ কোটি। বর্তমানে তা বেড়ে ২০০০ কোটি টাকায়ে উন্নীত হয়েছে। কারণ এখন সব মানুষ পানি পায়। উন্নত অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সম্পদে বৈষম্য কম। এখন বাংলাদেশের গ্রামের অর্থনীতিও অনেক শক্তিশালী। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে ঢাকায় বায়ুদূষণ ও যানজট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দূষণ হচ্ছে। এতে ঢাকা শহরের মানুষের কর্মস্পৃহা এবং কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। তবে ঢাকাকে দূষণমুক্ত করতে হবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এএসএস/জেডএস