করোনা মহামারির আগে একজন শিক্ষার্থীর দৈনিক গড় পড়াশোনা ছিল ৬ ঘণ্টা। করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় একজন শিক্ষার্থীর এই পড়ার হার গড়ে ৪ ঘণ্টা কমেছে। অর্থাৎ স্কুল বন্ধ থাকায় একজন শিক্ষার্থী গড়ে ২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনের অডিটোরিয়ামে শিশু শিক্ষা জরিপ-২০২১ এর রিপোর্ট প্রকাশে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্পিয়ার শাখার প্রধান স্টানলি গোয়াভুয়ার। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ উইংয়ের পরিচালক মো. মাসুদ আলম।

মাসুদ আলম বলেন, আন্তর্জাতিক মানের জরিপ পদ্ধতি ও প্রশ্নপত্র অনুসরণ করে সারাদেশে মোট ৯ হাজার খানায় ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হতে ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সময়ে জরিপটি পরিচালিত হয়। জরিপ অনুযায়ী, করোনার প্রভাবে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় পরিচালিত বিভিন্ন দূর শিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনলাইন, টেলিভিশন ও বেতারে মোট ১৮.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ নিয়েছে। 

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, কোভিডকালে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় উপস্থিতি যথাক্রমে ৮০.৫, ৫৯.৬ ও ৫০.৫ শতাংশ অর্থাৎ ২০১৯ এর তুলনায় প্রাথমিকে কিছুটা কমলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুটা বেড়েছে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হওয়ার আগে একজন শিক্ষার্থী যেখানে বাসা, স্কুল ও কোচিং মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ৬ ঘণ্টা পড়াশুনা করত, সেখানে স্কুল বন্ধ থাকাকালে দৈনিক পড়াশোনা করেছে ২ ঘণ্টা। কোভিডকালীন শিক্ষার্থীদের পড়া ও গাণিতিক দক্ষতা যথাক্রমে ৪৯.৮ ও ২৫.৮ শতাংশ যা ২০১৯ এর তুলনায় গণিতে কিছুটা কমলেও পড়ার দক্ষতার ক্ষেত্রে বেড়েছে। 

এসআর/ওএফ