তেল-বিদ্যুৎ-পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে
ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গরম আসছে, সেই সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। গ্রামেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। সেজন্য সবাইকে বলব বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবেন।
কাতারের সঙ্গে জ্বালানি চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাতারের সঙ্গে জ্বালানির সর্ম্পক দীর্ঘদিনের। ২০১০ সালে প্রথম চুক্তি হয়েছিল। এরপর ১৪ বছর ধরে এ চুক্তি চলছে। তাদের কাছ থেকে এলএনজি আমদানি করি।
স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) যাওয়ায় বাংলাদেশ কী কী সমস্যা ও সম্ভাবনায় থাকবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলডিসিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নানা সমস্যার কথা শুনতে হবে, এটা স্বাভাবিক। তবে অনেক সম্ভাবনার কথাও কিন্তু আছে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন হয়েছে। এখানে প্রচুর বিনিয়োগ আসছে। এতে দেশের রপ্তানি বাড়বে। এরইমধ্যে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করছি। বন্দরগুলো উন্নতি করেছি। চামড়া, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারবো। ৭০ দেশে সবজি রপ্তানি হচ্ছে। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যেমন ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। নতুন নতুন বাজার খোঁজা ও নতুন পণ্য উৎপাদন খুঁজতে বিভিন্ন কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি দেখভাল করার জন্য একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বসানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত যেমন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে। করোনার যে সময়টুকু নষ্ট হয়েছে সে সময় বিশেষ ছাড় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা হচ্ছে। আমরা কিন্তু বসে নেই। কাজ গুছিয়ে নিয়ে করছি।
এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা
এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটেছে। এখনও ঘটছে। এসবের জন্য সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
‘আমাদের সাময়িক কোনো সমস্যা হলে জনগণ তা মোকাবিলা করবে। ১৯৭৫-এর পর এখন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক ভালো। এখন ভোট চুরির সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা করেছি। সিল মেরে ব্যালট ভরার সুযোগও নেই।’
এনএম/জেডএস