দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচলে জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ অঞ্চলে ভিসামুক্ত চলাচলের সুযোগ তৈরি হলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আরও কানেক্টিভিটি বাড়বে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্যও বাড়বে।

রোববার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন : শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি ভাগাভাগির দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল সম্পর্কের পরবর্তী ৫০ বছর কেমন দেখতে চাই, সেটাই আলোচনা করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে এনার্জি, পর্যটন ও বাণিজ্য খাতে সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক হার তুলনামূলকভাবে কম। দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি বাণিজ্য হওয়া উচিত। দুই দেশ এনার্জির সহযোগিতায় অনেক এগিয়েছে। নেপাল থেকে   ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা আনতে চাই, তবে সেটা দেরি হচ্ছে।

ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস প্রায় সাড়ে ছয় বছর নেপালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া বাণিজ্য বাড়াতে ট্যারিফ বাধা চিহ্নিত করে সেটা দূর করতে হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আরও বাড়ানো যেতে পারে।

রেক্টর মাশফি বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সৈয়দপুর থেকেও বিমান চলাচল হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি বলে আমি মনে করছি।

ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে বাড়ছে। আঞ্চলিক ও বহুমুখী ফোরামেও বাংলাদেশ ও নেপাল একযোগে কাজ করছে। এনার্জি সহযোগিতার লক্ষ্যে উভয় দেশ যেন লাভবান হয়, সেজন্যই কাজ চলছে। ৩ হাজার নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।

এনআই/এফকে