ছাদবাগান করলেই কমবে হোল্ডিং ট্যাক্স
বাসা-বাড়ির ছাদে বাগান করলে ওই বাড়ির মালিকের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (১৭ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও মিস্ট ব্লোয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ডিএনসিসির উদ্যোগে রাজধানীর বারিধারা পার্কে বৃক্ষরোপণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, যেসব বাসা-বাড়ির ছাদে বৃক্ষরোপণ অর্থাৎ ছাদবাগান করা হবে সেসব বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বিশ্বাসী। আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সকল উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আমাদের দেশকে জানি, দেশের মাটি ও মানুষ, সংস্কৃতি, গাছপালা ও পশু-পাখিদের জানি। তাই উন্নয়ন প্রকল্প নির্বাচন, বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার অর্থায়নের সময় আমাদের চিন্তা-চেতনা এবং সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমন্বয় করে করা উচিত।
তিনি জানান, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেন। এরপর দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ার জন্য সবধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনেন।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে দেশের অর্থনীতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ ডলার। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু দেশের মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প-কলকারখানা, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ সকল খাতের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশে আর সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথম সরকার গঠন করার পর নতুন উদ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবার উন্নয়নের ছন্দপতন ঘটলেও ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি শুরু হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। এছাড়া, কৃষি, শিল্প-কারখানা তৈরি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তাসহ অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের মাথাপিছু আয় ২১০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের পথপরিক্রমা বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় হয়েছে।
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জাপান, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এফআর/আরএইচ