সকাল হয়েছে অনেক আগেই তবুও রাজপথে নেই অফিসগামী মানুষের ঢল। গণপরিবহনগুলো অনেকটাই ফাঁকা, নেই যানজট, খুব একটা যানবাহন নামেনি সড়কে। বাস-হেলপারদের নেই হাঁকডাক, ফুটপাত জুড়ে মানুষের জটলাও নেই। মোড়ে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার চালকরা দাঁড়িয়ে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রীদের উপস্থিতি নেই। বেশিরভাগ দোকান এখনো খোলেনি। সব মিলিয়ে ছুটির দিনের সকালে ভিন্ন রূপ পেয়েছে রাজধানী ঢাকা।

বুধবার (৮ মার্চ) শবে বরাত উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি ছুটির কারণেই এমন রূপ পেয়েছে রাজধানী ঢাকা।

সকাল সকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ গণপরিবহনে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। সেই সঙ্গে গণপরিবহনও তুলনামূলক অনেক কম। দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ, ফুটপাত ধরে অফিসগামী মানুষের ঢল নামেনি। সাধারণ মানুষের চলাচলও চোখে পড়ার মতো নয়। মোড়ে মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা। কিন্তু তারাও যাত্রী পাচ্ছেন না। তারা বলছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হয় তো বেড়িয়ে আসবে।

সাভার থেকে গাবতলী, শ্যামলী, আগারগাঁও হয়ে মহাখালী রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চলকের সহযোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, পুরো রাস্তা এসেছি ৮/১০ যাত্রী নিয়ে। সড়ক একদম ফাঁকা। ছুটির দিন হওয়ায় শবে বরাতের নামাজ পরে মানুষ সকালে বের হয়নি। অনেক দিন পর যানজটহীন এমন একটা সকাল দেখা যাচ্ছে। গাবতলী থেকে মহাখালী আসতে ১৫ মিনিটও লাগেনি, অথচ অন্য দিকে এই পথ আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।

মালিবাগে যাত্রীর অপেক্ষায় সড়কে দাঁড়ানো ছিলেন সিএনজিচালক এরশাদ আলী। ফাঁকা ঢাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে বের হয়েছি গাড়ি নিয়ে, এখন পর্যন্ত ট্রিপ পেয়েছি মাত্র একটা। সকাল থেকে সড়কে মানুষ নেই। অন্য ছুটির দিনেও মানুষ বাইরে বের হয়। অনেকেই শবে বরাতের নামাজ পড়েছে, প্রতি বছরই শবে বরাতের রাতের পরের সকালে এমনটাই ফাঁকা থাকে।

রাজধানীর মগবাজার থেকে গুলশান-১ নম্বর এসেছেন লিটন আহমেদ নামের একজন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কাজে সকালে গুলশান আসতে হয়েছে। কিন্তু আসার পথে দেখলাম বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ, সড়কে যানবাহনও খুব কম, মানুষও নেই তেমন। ঈদের সময় যেমন রাজধানী ফাঁকা থেকে আজ অনেকটা তেমন। অন্য স্বাভাবিক দিনে যেমন যানজট, কোলাহল ও মানুষের ভিড় দেখি তার কিছুই নেই আজ। বলতে গেলে একেবারে ভিন্ন রূপে আজকের ঢাকা।

এএসএস/ওএফ