হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎকারী শামসুদ্দিন শামীম নামে এক প্রতারককে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর ওয়ারী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার শামীমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ওয়ারী থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় রিমান্ড আবেদন করে শামীমকে আদালত পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শামীম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বেপারি বাড়ির শহীদুল্লাহর ছেলে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওয়ারী থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে শামীম নিজেকে সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সি রোজিনা এয়ার ট্রাভেলসসহ একাধিক হজ এজেন্সির মালিক দাবি করতেন। এই পরিচয়ে তিনি চাটখিল এলাকার হজে যেতে ইচ্ছুক ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ নেয়।

>> দুই দফা সময় বাড়িয়েও হজের কোটা খালি ৭৬ হাজার

টাকা নিয়েও হজে পাঠাতে না পাড়ায় ভুক্তভোগীরা তার কাছে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন।

মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া থেকে বাঁচতে সোমবার (৬ মার্চ) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে সেখান থেকে তাকে ওয়ারী থানা পুলিশের হাতে শামীমকে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

>> হজের প্যাকেজ কমিয়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ

এ বিষয়ে কানন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, তার পরিবারের সদস্যদেরকে হজে পাঠানোর কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নেয় শামীম।  কিন্তু তিনি হজে না পাঠিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেন।

এ বিষয়ে ওয়ারী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতারক শামীমের বিরুদ্ধে নোয়াখালীতেও মামলা রয়েছে। আমাদের থানায়ও গতকাল (সোমবার) রাতে একটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।

এমএসি/ওএফ