২০২৩ সালের হজ নিবন্ধনের শেষ দিন আগামীকাল ৭ মার্চ। এখন পর্যন্ত দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও হজের কোটা খালি রয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়,  সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী- ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫০ হাজার ৭৭৮ জন। এ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

আরও পড়ুন- নিজেদের ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ দেখাতে হজযাত্রীদের পকেট কাটছে বিমান

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

প্রাক-নিবন্ধন করতে ৩০ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) জমা দিতে হয়। আর নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময় জমা দিতে হয় অবশিষ্ট টাকা। তবে পাহাড়সম এই খরচ না জোগাতে পেরে অনেকেই চূড়ান্ত নিবন্ধন করছেন না। বরং প্রাক-নিবন্ধনের টাকা ফেরত নেয়ার আবেদন করছেন।

সর্বশেষ সোমবার ৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫০ হাজার ৭৭৮ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ৬১০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২ হাজার ১৬৮ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, নিবন্ধনের জন্য সময় বাকি আছে আর মাত্র একদিন। এই অল্প সময়ের মধ্যে ৭৬ হাজার নিবন্ধন প্রায় অসম্ভব। তাই নিবন্ধনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী সোমবার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগেও অনেকবার এমন হয়েছে যে নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রী পাওয়া যায়নি। তবে শেষের দিকে ৪/৫ দিনে আবার কোটা পূরণও হয়ে যায়। আমাদের বিশ্বাস এবারও সব কোটা পূরণ হয়ে যাবে এবং ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশিই হজের জন্য নিবন্ধন করবেন।

আরও পড়ুন - হজের সব তথ্য পাওয়া যাবে ১৬১৩৬ নম্বরে

উল্লেখ্য, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

এআর/এমজে