ঢাকা ও অন্যান্য শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এতে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে এটি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা এখনো আমার টেবিলে আসেনি। নীতিমালার একটা ড্রাফট করলেই যে সেটি ফাইনাল, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমার টেবিলে এখনো আসেনি, আমি এটি দেখব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা, ২০২৩’ এর খসড়া তৈরি করেছে। নীতিমালায় রয়েছে মহাসড়কে ১২৬-এর কম সিসির (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। পাশাপাশি পেছনে আরোহী নিয়ে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। আর রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলের চালকের পোশাক ও হেলমেটের রঙ নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এ নীতিমালায়।

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর চিন্তাভাবনা আপাতত নেই

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের আপাতত কোনো চিন্তাভাবনা নেই বলে জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত নেই (চলাচলের অনুমতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা)। এখন তো শান্তিতেই আছে পদ্মা সেতু।

গত বছরের ২৬ জুন যান চলাচলের প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

এরপর ২৭ জুন পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এ বিষয়ে ২৬ জুন রাতে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

এমএম/এসএইচআর/এসএসএইচ/