জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করণের মধ্য দিয়ে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতিতে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে আগে এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা এবং তারপর সংগ্রহ করতে পারছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। আর এই নতুন নীতি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে রেলেওয়ের কর্মকর্তারা। এজন্য রেলের পূর্বাঞ্চলে ৬টি টাস্কফোর্স টিম গঠন করা হয়েছে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে ইতোমধ্যে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) জোবেদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানিয়েছেন, ৬টি টাস্কফোর্স টিমের মধ্যে ৪টি টিম ঢাকা-ভৈরব বাজার-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ-তারাকান্দি, ঢাকা-জয়দেবপুর, ঢাকা-আখাউড়া, আখাউড়া-সিলেট এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটে কাজ করছে। আর বাকি দুটি টিম চট্টগ্রাম-আখাউড়া ও লাকসাম-আখাউড়া রুটে কাজ করছে।

এদিকে নতুন এই নীতি বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্স টিম জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে এবং স্টেশনে কাজ শুরু করেছে। টাস্কফোর্স টিম ১-৪ এর আহ্বায়ক বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও), বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও), বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী-ক্যারেজ ঢাকার নেতৃত্বে টিকিট চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা চলছে। 

এই কার্যক্রম এখন নিয়মিত চলবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্টেশনে স্থাপিত রেজিস্ট্রেশন সহায়তা কেন্দ্রে যাত্রীসাধারণকে রেজিস্ট্রেশন কাজে সহায়তা কার্যক্রমও মনিটরিং করেন টাস্কফোর্স টিম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের চারটা টাস্কফোর্স টিম আছে, তারা কাজ করছে। সহজে যাতে মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে টিকিট কাটতে পারে তার জন্য ঢাকা এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আমাদের জনবল বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন প্রক্রিয়া মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। যাত্রীরা বুঝতে পেরেছেন, টিকিট ছাড়া ট্রেনে যাত্রা করা যাবে না। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের লজিস্টিক বাড়াচ্ছি। একইসঙ্গে আমাদের মনিটরও জোরদার করেছি।’

এমএইচএন/এসএম