ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার সম্পদ!
ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার রুমার সম্পদের হিসেব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
দুদকের অনুসন্ধানে তাদের রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে এক হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ঢাকার পল্লবী ১৩ কাঠার জমি, মিরপুরর ব্লক-ক্লেন-৮ এ সাড়ে ৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ প্রায় তিন কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যার মধ্যে একটি বড় অংশ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে জানা গেছে।
আয়কর বিবরণীতে কাগজে কলমে আয়-ব্যয়ের হিসেব মিলিয়ে রাখলেও দুদকের অনুসন্ধানে বড় ধরনের অমিল রয়েছে। যে কারণে অনুসন্ধান কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করার নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
যে কারণে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক নোটিশ জারি করা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক রেজাউল করিমের সই করা নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনি আপনার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আপনি আপনার নিজ ও আপনার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।
এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। অন্যদিকে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরএম/এফকে