এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহর কাছে খবর আসে মাদকের একটি চালান কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাবে। এ খবর পেয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নজরদারি বাড়ায় পুলিশ। আজ আসছে কাল আসছে বললেও কোনোভাবে জব্দ করা যাচ্ছিল না চালানটি। তারপরও হাল ছাড়েনি পুলিশ।

একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে লোহাগাড়ার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে সেই চালানটি জব্দ করা হয়। এদিন একটি কাভার্ডভ্যান থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। একই সঙ্গে গাড়িটি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪০ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

এ সময় মাদক, অস্ত্র ও গুলি পরিবহন করার অভিযোগে গাড়িটির চালক মো. ফরিদ মিয়া (২৫) ও হেলপার মো. নুর হোসেন সবুজকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ফরিদ ময়মনসিংহের তারাকান্দা এলাকার মো. নুরু উদ্দিনের ছেলে এবং নুর হোসেন চট্টগ্রামের মিরসরাই জোরারগঞ্জ এলাকার মৃত মো. সামশুল হকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আর বি ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাভার্ডভ্যানের ড্রাইভারের সিটের পেছনে বিশেষ কায়দায় কাভার্ডভ্যানের মূলবডির সঙ্গে যুক্ত কাঠ দিয়ে তৈরি লম্বা বক্সে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ইট আকৃতির ১৬টি পোটলা পাওয়া যায়। এসব পোটলার প্রত্যেকটিতে ইয়াবাভর্তি ৫০টি নীল রঙের এয়ারটাইট পলি প্যাকেট পাওয়া যায়। প্রতিটি পলি প্যাকেটে ২০০ পিস ইয়াবা ছিল। সবমিলিয়ে ১৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মোট ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া এসব ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

একই সঙ্গে গাড়িচালক ফরিদের দেহ তল্লাশি করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং হেলপার নুর হোসেনের দেহ তল্লাশি করে ৪০ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি প্লাস্টিকের ছোট কালো বক্স পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, বিশুদ্ধ পানি পরিবহনের আড়ালে অভিযুক্তরা এর আগেও একাধিকবার মাদকের চালান পাচার করেছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার তারা হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়। তাদের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় অস্ত্র আইনে এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দুটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (শুক্রবার) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এমআর/এসকেডি