ঋণের পাঁচ হাজার টাকা আদায় করতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় দুধের বাচ্চাসহ দুই শিশুকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মো. রিদুয়ান নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

এ দিন রাত ১০টার দিকেও ইউনিয়নের মহাজন মসজিদের পশ্চিম পাশে অভিযুক্তের পাকা বাড়িতে দুই শিশু আটকা রয়েছে। দুই শিশুকে আনতে তাদের মা রেশমা আক্তার অভিযুক্তের বাড়িতে অপেক্ষায় রয়েছেন। খবর পেয়ে তাদের বাবা তৌহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাতকানিয়া থেকে বাচ্চা আনতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী তৌহিদুল সাতকানিয়ার একটি মুরগির ফার্মে চাকরি করেন। তার বাড়ি চরম্বা ইউনিয়নের হাজির পাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। বিশেষ প্রয়োজনে কয়েকমাস আগে রিদুয়ানের মায়ের কাছ থেকে তৌহিদুল ২ হাজার এবং তার স্ত্রী রেশমা আক্তার ৩ হাজার টাকা ধার নেয়। বেশ কয়েকবার চেয়েও টাকা না পাওয়ায় বুধবার বিকেলে রিদুয়ান ও তার মা ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে দুই শিশুকে নিয়ে যান। এর মধ্যে একজন ওয়াহিদুল ইসলাম (৩) ও দেড় বছর বয়সী কন্যাশিশু তৌহিদা আফরিন রয়েছে। ঘটনার সময় দুই শিশুর বাবা সাতকানিয়ায় নিজের কর্মস্থলে ছিলেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে মো. রিদুয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাচ্চা দুটি আমাদের বাড়িতে রয়েছে। তাদের মাও এখানে রয়েছে। আমরা বাচ্চা দুটির কোনো ক্ষতি করছি না। টাকা দিলেই তাদের নিয়ে যেতে পারবে। অনেকবার চেয়েও টাকা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বাচ্চা দুটিকে নিয়ে এসেছি। আনার পর বাচ্চার বাবা আমাকে হুমকি দিচ্ছে।

ভুক্তভোগী তৌহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার সঙ্গে রিদুয়ানের কথা হয়েছে। তাকে বলেছি আমি আজকে (বুধবার) কিস্তি দিয়েছি, কয়েকদিন পর টাকা নিতে। তারপরও আমি তাকে একটা বিকাশ নম্বর দিতে বলেছি, মালিকের কাছ থেকে যা পাব তা দেব বলেছি। কিন্তু সে না শুনে আমার বাচ্চা দুটিকে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি যেখানে চাকরি করি ওই ফার্মের মালিককে বলেছি। তিনিসহ টাকা যোগাড় করে এখন বাচ্চা উদ্ধার করতে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শরীফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি। বাচ্চার বাবাকে থানায় আসতে বলেন। থানায় অভিযোগ দিলে আমরা বাচ্চা উদ্ধারে পুলিশের টিম পাঠাব।

এমআর/ওএফ