অভিনব কায়দায় কাগজের ভেতরে লুকিয়ে বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট আমদানি করায় একটি কন্টেইনার জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। এতে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট আমদানি করে প্রায় ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। 

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
  
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাঁচলাইশ এলাকার জে. কে. স্টেশনারি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ৪ সাইজের কাগজ ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। ঝুঁকিপূর্ণ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, বন্দর, পণ্য ও পণ্য তৈরি দেশ বিবেচনায় কন্টেইনার সংশ্লিষ্ট বিল অব ল্যাডিং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ব্লক করে রাখে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের জাবেল আলী বন্দর থেকে জাহাজে করে কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে এলেও পণ্য খালাসের জন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সোমবার (১৫ মার্চ) নিয়ম অনুযায়ী ফোর্সড কিপ ডাউনের মাধ্যমে পণ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর (অডিট, ইনভেস্টগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) টিম।

সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল করিম বলেন, কন্টেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল শুধুই কাগজ এবং নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী প্যালেটগুলোর ৪৮ কার্টনের মধ্যে ওপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং ২য় থেকে ৪র্থ স্তর পর্যন্ত ৩৬ কার্টন খুলে ওপরে এক রিম এ৪ সাইজের কাগজ পাওয়া যায় এবং কাগজের নিচে আলাদা অন্য একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট। এতে পরীক্ষা করে ২৪ হাজার ৯৯০ কার্টনে ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার শলাকা ওরিস এবং মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। 

সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় আগের মতো এই অপচেষ্টাও নস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পণ্যচালানটিতে জড়িত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

কেএম/জেডএস