প্রজ্ঞা

প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। এরপরও দেশে এশিয়ান টোব্যাকো লিমিটেড নতুন সিগারেট উৎপাদন কারখানা স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা তামাকমুক্ত দেশ গড়তে বাধা সৃষ্টি করবে বলে মনে করে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা)।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ওই কোম্পানিটি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে একটি চুক্তি করে। চুক্তি অুনসারে ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় তারা এ কারখানাটি স্থাপন করবে। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এ তথ্য জানায়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনস্বাস্থ্যের বিপরীতে একটি মৃত্যুবিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ দেওয়া খুবই উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে অকালে মারা যায় এবং পঙ্গুত্ববরণ করে আরও কয়েক লাখ মানুষ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুতরাং রাষ্ট্র কোনোভাবেই এ মৃত্যুবিপণনকে উৎসাহিত করতে পারে না।

এ বিষয়ে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তামাক কোম্পানিকে উৎসাহিত করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেবল রপ্তানির উদ্দেশ্যে সিগারেট কারখানা স্থাপন করা হলেও দেশে তামাক চাষ এবং উৎপাদন দুটোই বেড়ে যাবে। তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে বেশি সমাদৃত। তামাকপণ্য রপ্তানি বিশ্বকে নেতিবাচক বার্তা দেবে। তামাকের ভয়াবহতা থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম করতে অবিলম্বে এ ধরনের উদ্যোগ প্রত্যাহার করতে হবে।

এসআর/এসএম