এনআইডি জালিয়াতি : উপ-সচিবসহ ইসির ৫ জনকে বহিষ্কার
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অভিযুক্ত উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাতে ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। ইসি সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার এক ব্যক্তির পুরো পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া এনআইডি সরবরাহের অভিযোগে গত ৪ মার্চ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে ইসি।
বিজ্ঞাপন
দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পাওয়ারা হলেন- ফরিদপুরের সাবেক জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-সচিব নওয়াবুল ইসলাম, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়ার সদর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম, মাগুরা সদরের থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস ও অফিস সহকারী জি এম সাদিক।
রোববার (১৪ মার্চ) জারি করা চার কর্মকর্তার অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অফিস সহকারী জি এম সাদিকের অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন ইসির যুগ্ম-সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইনের ২০ ধারা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২৪, ৩৩ ও ৩৫ ধারা, পেনাল কোডে ১০৯, ৪২০, ৪৬৮ ধারা ও জাতীয় পরিচয়পত্র আইনের ১৭ ও ১৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ছামিউল আলমের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় ও বাকিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
জানা যায়, এম এম এ ওয়াদুদ, বাবা মৃত আব্দুল হাকিম, সাং-১১০, এনএস রোড কুষ্টিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম তথ্যাদি ধারণ করে জালিয়াতির মাধ্যমে ছয় ব্যক্তি কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্তে ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়।
ইসি জানায়, ওয়াদুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ভুয়া এনআইডি তৈরি করে একটি চক্র ওয়াদুদের জমি বিক্রি করে দেয়। ওয়াদুদ বিষয়টি জানার পর ইসিতে অভিযোগ দিলে তদন্তের পর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এসআর/এফআর