ফাইল ছবি।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রায় প্রত্যেক হজ যাত্রীর ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি কোরবানি ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের জন্য প্যাকেজ মূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। হজে যাওয়ার প্লেন ভাড়া কমিয়ে হজের প্যাকেজ আরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে এয়ার টিকিট বিক্রেতা ট্রাভেল এজেন্সিরা।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাভেল এজেন্সিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন। চিঠিটি ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ডাল গ্রহণ ও বিতরণ শাখা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা, ২০১৭ সালে লাখ ১৯ হাজার টাকা, ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মারামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসেবে বিবেচনায় নিলে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৫ টাকা। এই বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে। গত ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে হজ যাত্রীদের নির্ধারিত বিমান ভাড়া ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৩ সালে নির্ধারিত বিমান ভাড়া পূর্বের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে হজের প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সৌদি রিয়ালের মূল্য হিসেব করে সৌদি আরবের খরচ নির্ধারণ করা হলেও হজের সময় রিয়ালের মূল্য টাকার বিনিময় মূল্যের হার বৃদ্ধি পাবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সারাবিশ্বে আর্থিক মন্দার কারণে যে ডলার সংকট বিরাজ করছে, তার প্রস্তাব হজ যাত্রীদের আর্থিক চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে এর ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে হাজীরা হজ করতে যাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবেন। বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজ যাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

এমতাবস্থায়, ২০২৩ সালে হজের প্যাকেজে উল্লেখিত বিমান ভাড়া হ্রাসসহ প্যাকেজ মূল্য পুনর্বিবেচনা করতে হাজীদের অর্থ- কষ্ট লাঘব করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি, বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। 

এআর/এফকে