চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (সিআইটিএফ) ৪০০ স্টলে অংশ নিচ্ছে দেশি-বিদেশি ৩০০ এর বেশি প্রতিষ্ঠান। দেশের শতবর্ষী প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ৩০তম এ মেলার উদ্বোধন হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। চট্টগ্রাম রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ডে প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মেলার সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরেন চেম্বার সভাপতি ও সিআইটিএফ কমিটির উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম ও চেয়ারম্যান এ.কে.এম আকতার হোসেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম চেম্বারের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ১৯৯৩ সাল থেকে দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এ মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির। অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শন করবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ প্যাভিলিয়ন সাজিয়ে তাদের পণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয় দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত রাখবেন। এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে। এতে বাতিঘরের সহায়তায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার সূত্র জানায়, মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। তবে এতে নগরের বিভিন্ন স্কুলের প্লে থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, তিনটি আলাদা জোন নিয়ে মোট ৪০০টি স্টলে ৩০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এবার ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব পণ্য প্রদর্শন করবে।

মেলায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, সন্ধানী, র‍্যাড (রাইট অ্যাকশন ফর ডিজঅ্যাবিপিটি), চট্টগ্রাম বধির ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা এবং ইলেট্রিশিয়ান কল্যাণ সমিতিকে বিনামূল্যে একটি করে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন শিফটে বিভক্ত হয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিশেষভাবে নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা মেলা পরিদর্শন করবেন। এতে করে সেসব দেশে দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করে চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতারা।

এমআর/এমএ