সিএনজির লুকিং গ্লাস : হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও নির্বিকার বিআরটিএ
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সিএনজি চালিত অটোরিকশার লুকিং গ্লাস ভেতরে না রেখে বাইরে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে আদালতের রায় বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে, সব সিএনজি চালিত অটোরিকশা আগের মতো লুকিং গ্লাস ভেতরে রেখেই চলাচল করছে। কয়েকজন চালক জানিয়েছেন এ বিষয়ে তাদের কেউ কিছু বলেনি।
বিজ্ঞাপন
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অটোরিকশার ভেতরে লুকিং গ্লাস থাকলে চালকরা কিছুটা দেখতে পান। তবে সেটি ব্লাইন্ড জোন কাভার করে না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে লুকিং গ্লাস বাইরে স্থাপন করা বিজ্ঞানসম্মত।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লুকিং গ্লাস ভেতরে থাকলে ব্লাইন্ড স্পটগুলো পুরোপুরি আসে না। মানে গাড়ির পেছনে কোনাকুনি ৪৫ ডিগ্রি এঙ্গেলের কিছু অংশ লুকিং গ্লাসে আসে না, যার ফলে সমস্যা হয়। আর সিএনজিতে ছোট ছোট খোপের গ্রিল থাকায় দেখতে অনেক অসুবিধা হয়ে যায়। তাই লুকিং গ্লাস বাইরে থাকলে পুরোপুরি নিরাপদ থাকা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ'র পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা কাজ শুরু করেছি। এখন থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় আমরা লুকিং গ্লাস বাইরে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে নজর রাখছি। এ বিষয়ে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি এবং সিএনজির মালিকদের সংগঠনগুলোকে জানিয়েছি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুয়েট ও বিআরটিএর বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞরা সিএনজির লুকিং গ্লাস ভেতরে লাগিয়ে চালকের আসনে বসে দেখেছেন কতটুকু কী দেখা যায়। তারা বলেছেন লুকিং গ্লাস অবশ্যই বাইরে লাগাতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়।
তিনি জানান, হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিআরটিএ'কে প্রতিবেদন দিতে হবে। আদেশ বাস্তবায়ন না করলে আদালতে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
এমএইচএন/এমজে/জেএস