স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সিআইডি আজ জনগণের আস্থা ও ভালবাসার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সিআইডি পুলিশের প্রযুক্তি, বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা সমন্বিত সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা। 

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ড, সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা এ বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছে।

তিনি বলেন, অর্গানাইজড ক্রাইম, ফরেনসিক বিভাগসহ অন্যান্য ইউনিটগুলোর কর্মদক্ষতা ও কর্মতৎপরতায় সিআইডি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, আধুনিক তদন্ত প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের তদন্ত সংস্থা সিবিআই ও আমেরিকান তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের মত সিআইডিও বিশ্ব পরিমণ্ডলে সুনাম অর্জন করবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট গভর্নেন্স। আর স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলা। 

তিনি আরও বলেন, সিআইডি গুণগত মানের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অফিসারদের দক্ষ করে তুলছে। ফলে তদন্তের মানে ব্যাপক উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে। সিআইডির তদন্তের নৈপুণ্য বিবেচনা করে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের দায়িত্ব সিআইডির ওপর অর্পণ করা হয়েছে।

এসবি প্রধান, অ্যাডিশনাল আইজি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত অপরাধ মানিলন্ডারিং, যা প্রতিরোধ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে টেকনোজিভিত্তিক তদন্ত করতে হবে। এই জন্য ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন প্রশিক্ষণ কোর্সটি প্রশংসার দাবিদার।

সিআইডি প্রধান, অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট পুলিশিং এর বিকল্প নেই। স্মার্ট পুলিশ গড়ার লক্ষ্যে গত ১১ অক্টোবর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্সের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ৪ মাসব্যাপী পরিচালিত এই কোর্সের মাধ্যমে ৪৫০ জনকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

জেইউ/এসকেডি